পৃষ্ঠাসমূহ

অক্টোবর ১০, ২০২২

চলুন ঘুরে আসি: গ্রেট ফলস পার্ক

ওয়াশিংটনের অদূরে গ্রেট ফলস পার্ক চমৎকার একটি ঘুরে বেড়াবার জায়গা। এই আটশত একর আয়তনের পার্ক ম্যারিল্যান্ড ও ভার্জিনিয়ার দু’দিক থেকেই দেখা যায়। আজ ঘুরে আসব ম্যারিল্যান্ড দিক থেকে এই পার্ক। এখানে এলে বিশাল বিশাল পাথরের সারির মাঝখান দিয়ে পটোম্যাক নদীর অপূর্ব স্রোতস্বিনী প্রবাহ ও জলপ্রপাত আপনাকে মুগ্ধ করে রাখবে। অনেকে বলেন, এটি নায়াগ্রা জলপ্রপাতের অতি ক্ষুদ্র সংস্করণ। কেথাও কোথাও এখানে প্রায় অপ্রশস্ত দুকূলে প্রায় ৭০ ফিটের উপর থেকে পানি খরস্রোতে পড়তে থাকে। বহু দূর থেকেই শোনা যায় গ্রেট ফলসের জলপ্রপাতের বিরামহীন ছন্দের শব্দ।

অক্টোবর ০৬, ২০২২

প্রাণের বইমেলা ২০২২: ঢাকা’র প্রতিবিম্ব

“বিশ্বজুড়ে বাংলা বই” -এই শ্লোগান দিয়ে যখন তৃতীয়বারের মতো আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটনের অদূরে ভার্জিনিয়ার স্প্রীংফিল্ডের হলিডে ইন-এ অক্টোবরের ২৯ ও ৩০ তারিখে দু’দিন ব্যাপী বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। ডিসি বইমেলা নামের স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনটি যখন এই ঘোষণা দেয়, তখন বইপ্রেমী সকলের মাঝে আনন্দের বন্যা শুরু হয়। সময় অতি অল্প, অথচ কর্মযজ্ঞ বিরাট। পাঠক, লেখক, প্রকাশক ও সকল সংস্কৃতিকর্মীদের একত্রিত করে একটি সফল আয়োজনের জন্য শুরু হয় নিয়মিত ও সাপ্তাহিক সভা, প্রতি বৃহস্পতিবার কর্মদিবস শেষে সন্ধ্যালগ্নে স্প্রিংফিল্ডের একটি সরকারী মিলনায়তনে আগ্রহী সবাই যোগ দিচ্ছেন। আলোচনা হচ্ছে বইমেলার আয়োজনের অগ্রগতি নিয়ে। সকল সফল আয়োজনের নেপথ্যে থাকে কিছু পরার্থবাদী মানুষের প্রাণান্তকর প্রয়াস-প্রচেষ্টা, এর কোন ব্যতিক্রম নেই ডিসি’র বইমেলার আয়োজনে। অর্থ দিয়ে, সময় দিয়ে, শ্রম দিয়ে সবাই চাচ্ছে প্রিয় বাংলায় লেখা বইয়ের অফুরন্ত ও রঙ্গিন সমারোহ। বাংলা আমাদের অহংকার, আর বই মেলা তার বহি:প্রকাশ। প্রবাসের মাটিতেও এই উচ্ছ্বাসে কোন ঘাটতি নেই।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গ্রন্থমেলা, ২০২০

ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯

বিদায় ২০১৯

ওয়াশিংটন ডিসি'র এনাকস্টিয়াা নদীর কিনার থেকে সুনীল আকাশ
ইংরেজী বছরের শেষ দিন, বিদায় ২০১৯! ভোর থেকেই অসংখ্য নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তায় ভারী হয়ে উঠেছে আমার ফোনের স্ক্রিন। ঢাকা থেকে ক্রীসমাস ডে তে ডিসিতে ফিরেছি। এসেই অসুস্থ। ডাক্তার দেখে শুনে বললেন, ঠান্ডা বাঁধিয়েছ, ব্রঙ্কাইটিস। অফিস বন্ধ। বাসায় বন্দী। কাশি। শুয়ে বসে বড্ডো অস্বস্তিতে বসবাস। বিপদ সর্বত্র। বাবা অসুস্থ। এ বছর এ নিয়ে চারবার দেশে গেলাম। তার আরোগ্যের শুভ কামনায় ও প্রার্থনায় আমরা সবাই অস্থির সময় কাটাচ্ছি। তারপরও জীবনের চাকা চলে, চালাতেও হয়। ‌এর মাঝে যারা ইংরেজী নতুন বর্ষ উদযাপন করছেন, তাদের সবাইকে জানাই শুভ নববর্ষ

কিন্তু আমার নতুন বছর শুরু হয় বৈশাখের প্রথম দিন। সেই অপেক্ষায় আছি। ইংরেজ আর ইংরেজীর অত্যাচারে সবই হারিয়েছি, থাকুক না আমার বাংলা নববর্ষ,আমার নিজস্ব পরিচয়ে আর অহংকারে। এই হিমশীতল শুস্কতায় অপেক্ষায় আছি করুণার। অপেক্ষায় আছি আনন্দঘন নতুন সকালের।

জানুয়ারী ০১, ২০১৮

স্বাগতম ২০১৮


শুভ ইংরেজী নববর্ষ। স্বাগত জানাই ২০১৮ সালকে। সাথে সাথে সব বন্ধুদের জন্য রইল অনেক অনেক শুভ কামনা। নতুন বছর ছড়িয়ে দিক শান্তি ও সাফল্য। নতুন বছরে আমার অঙ্গীকার হচ্ছে নিয়মিত লেখার চেস্টা করা। দেখা যাক, তার কতোটা সম্ভব হয়! প্রথম দিন তাই শুরু হলো ভার্জিনিয়ার মেসন নেক স্টেট পার্কে কিছু সময় কাটিয়ে। তারই কিছু ছবি সাজিয়ে দিলাম আপনাদের জন্য। পড়ন্ত বিকেলে আমি যখন পার্কে যাই,বাইরের তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রী (সেলসিয়াসে -৬)।  গাড়ী পার্ক করে সামনে হেঁটে এসে পটোম্যাক নদীর তীর। শীতের তীব্রতায় নদীও ঢেউ তুলতে ভুলে গেছে। জানুয়ারী মাসে ঠান্ডা পড়ে। তুষারপাতও হয়। গড়পড়তা এই সময় তাপমাত্রা দিনের বেলা ৪০ এর কাছে থাকে। এটা একেবারে রেকর্ড ভেঙ্গেছে। তা অনেক ব্যাপারেই মার্কিন রাজ্য ইদানীং রেকর্ড ভেঙ্গেছে।তাপমাত্রার এই নিম্নাঙ্ক তাই তেমন কোন ব্যাপারই না।

মে ৩১, ২০১২

অবসরের রঙ্গিন চিত্রমালা


Lake Accotink Park
অনেকদিন পর লিখতে গিয়ে হঠাৎ থমকে উঠলাম। ব্যস্ত জীবনে একটু লেখার সময় বের করতে পারছিলাম না অনেকদিন থেকে। ব্যস্ত জীবন বড্ডো যান্ত্রিক। তাতে সৃজনশীল মননের সুযোগ কোথায়? নিজের অজান্তেই মনের মধ্যে অপরাধবোধ অপরাহ্নের ছায়ার মতো দীর্ঘ হতে থাকে। তাই সময়ের কড়া চোখ ফাঁকি দিয়ে লিখতে বসলাম। অবসরের মূহুর্ত্ত্বগুলোকে বড্ডো অগোছালো, অনেকটা এলোমেলো বাতাসের কাছে  দ্রুত পালিয়ে যাওয়া ছিন্ন পাতার মতো মনে হয়। এসবের মাঝ থেকে কিছু রঙ্গিন ছবি দিয়ে শুরু করলাম এই লেখা।

মার্চ ০২, ২০১২

চলচিত্রে যেভাবে স্হান করে নিল একুশের গান


প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী এলে যে গানের মাধ্যমে বাংলা ভাষার জন্য সুমহান আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয় সেই গান ১৯৭০ সালের ফেব্রুয়ারীতে কিভাবে জহির রায়হান নির্মিত "জীবন থেকে নেয়া" ছবিতে চিত্রায়িত হলো সেই ইতিহাস আমাদের অনেকের অজানা।

ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০১২

ওয়াশিংটন ডিসি'র পিঠা উৎসবে এক সন্ধ্যা


Click here to read in English

ওয়াশিংটন ডিসি মেট্রো এলাকার অন্যতম বৃহৎ ও জনপ্রিয় উৎসব হিসেবে পিঠা উৎসব গত সাত বছর থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভোলাপমেন্ট ইনক (বিসিসিডিআই)এর উদ্যোগে আয়োজিত বাৎসরিক এই উৎসবে এলাকার শত শত বাংলাদেশী পিঠাপ্রেমী যোগ দিয়ে থাকেন। সুদূর প্রবাসের মাটিতে হাতে বানানো পিঠার মধ্যে তারা খুঁজে পান বাংলাদেশের অকৃত্রিম ছোঁয়া।